ফ্রিল্যান্সিং এর সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়াদি ।
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে অর্থ উপার্জনের চেয়ে আর কোন কষ্টের কাজ নেই । তাই তরিঘরি করে নেমে পরলেই হবে না এর জন্য নিতে হবে কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তুতি । আমি এ পথে দীর্ঘ দিন পথ চলার পর অবশেষে খুজে পেয়েছি সহজ রাস্তা । সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সাথে সেয়ার করতে এ ব্লগ সাইটের আশ্রয় নিয়েছি । তবে, জানতাম না লেখালেখির কাজটা এতো কঠিন, তারপরও দায়িত্বের কারণেই লিখছি । এতো কিছুর পরও আমি সার্থক হবো যদি আপনারা আমার পোষ্ট বা লেখালেখি গুলো নিয়মিত পড়েন ।
আমি আবারো বলছি, পৃথিবীতে অর্থ উপার্জনের চেয়ে আর কোন কষ্টের কাজ নেই তবে বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যার প্রমান ইতোমধ্যে এদেশের পরিশ্রমী যুবকেরা দিয়েছে। সকল মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো তাদের থ্রীজি ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করলে এদেশের আনাচে কানাচে পরেথাকা সম্ভাবনাময় দরিদ্র এবং তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত যুবকেরা তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আয়ের পথ এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ খুজে পাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী । শুধুমাত্র কাজে লাগাতে হবে আমাদের মেধা, শ্রম সর্বোপরি ধৈর্য্য ।
এবার আসা যাক মূল পাঠ্য বিষয়ে ।
ফ্রিল্যান্সিং এর অত্যাবশ্যকীয় বিষয় সমূহ :
ফ্রিল্যান্সিং করা জন্য নিম্নে বর্ণিত বিষয় সমূহ অপরিহার্য :
১। ভালো বা হাই কনফিগারেশনের একটি ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ ।
২। ইন্টারনেট সংযোগ ।
৩। কম্পিটার পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রোগামে জ্ঞানার্জন ।
৪। ভালো ইংরেজি জানা ।
৫। সর্বোপরি সফলতা পাওয়ার জন্য যে বিষয়টি জরুরী তা হলো ধৈর্য্যের সাথে পরিশ্রম করা ।
আপনাদের সফলতার জন্য আমি এখানে আরো কিছু বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চা্ই তা হলো :
১। প্রথমে আপনাকে বুজতে
হবে
আপনি
কি
করতে
পারেন
,কত
টুকু
পারেন
, নিজে এ কাজের জন্য যোগ্য কিনা যোগ্যতা
অর্জন করতে হলে কি করতে হবে সে সম্মন্ধে
জানতে
হবে ।
২। আপনি নিজের জন্য
একটা
প্লান
করুন
যে
আপনি
কখন
কি
করবেন,
সময়
টা
কে
সাজিয়ে নিন,
তার
পর
কঠোর
অনুশীলন করুন ।
৩। নিজেকে প্রকাশ করা । অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে দুর্বল বা জানেনা সেই বিষয়টাকে প্রকাশ
করুন
,আপনি
যা
জানেন
তা
দিয়ে
নানা
রকম
প্রোজেক্ট করুন
আর
তা
আপনার
পোর্টফলিও তে
অ্যাড
করুন ।
৪. আপনার ইচ্ছা এবং কাজের
বিষয়
গুলো
নিয়ে
কারো
সাথে
কথা
বলুন
তাকে
আপনার
করা
প্রোজেক্ট গুলু
বুঝাতে
চেষ্টা
করুন
এবং
তার
কাছ
থেকে
মন্তব্য নিন
যে,
আপনি
কেমন
করেছেন?
৫. নিজের দুর্বলতা
বা না জানাকে কঠোর
পরিশ্রম এবং অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নতি
ঘটিয়ে নিজেকে একজন সলফ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলুন
, নিজের
না
জানা
বিষয়
গুলোকে
নিজের
দুর্বলতা না
ভেবে
তা ভালো করে জেনে নিজে বিষয়টি রপ্ত করুন ।
আর
এই
বিষয়
গুলো
যদি
আপনি
অতিক্রম করতে পারেন
তাহলে আপনার মনোবল
বাড়বে
এবং সফল হবেন,
ইনশাল্লাহ ।
Nice Blog
ReplyDelete